ইবিতে জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া’র ৯৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত:
০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:১২ পিএম
ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার ৯৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গগন হরকরা গ্যালারিতে এসে সমবেত হয় এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।
আলোচনা সভায় সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং আসাদুল্লাহ আল গালিব ও এস এম শামীম এর যৌথ সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ইবি তালাবা'র সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম সায়েম, সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মোস্তফা আল মুজাহিদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আরিফ প্রমূখ। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী,বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও শাখা তালাবা'র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন
এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মো মাহমুদুল হাসান। সভায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে একশত নম্বরের ইসলামীক স্টাডিজ কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা, ধর্মতত্ত্বের সাবেক শিক্ষার্থীদের উক্ত কোর্সের জন্য শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা তালাবা'র দুই নেতৃবৃন্দের নামে কোন ভবনের নামকরণ করার দাবি জানান।
সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন,
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মাদ্রাসার ছাত্রদের বিভিন্ন দাবির পক্ষে সোচ্চার হয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া। মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধরে রেখেছে এই সংগঠন। একসময় দেশে এধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হতো না। বিভিন্ন বাঁধা আসতো। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এই সংগঠন কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ।
উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে জমিয়তে তালাবেয়ে আরাবিয়া দীর্ঘ ৯৬ বছর ধরে কাজ করে আসছে। তালাবায়ে আরাবিয়া কোন রাজনৈতিক সংগঠনের লেজুড়বৃত্তি করে না। এই সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করবে আশা করছি। আলিয়া, কওমি-সহ যারা ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে তাদের সাথে থাকতে হবে। সর্বদা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
পরে অতিথিবৃন্দের বক্তব্য শেষে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং আলোচনা সভায় সমাপ্তি ঘটে।
LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: